Header Ads

করোনার লক্ষণগুলোকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়ঃ

 প্রতিদিনই পরিচিত কারো না কারো করোনা আক্রান্ত হবার খবর পাচ্ছি। অনেকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করাতে চাচ্ছেন। আবার অনেকে কখন হাসপাতালে আনতে হবে বুঝতেছেন না। তাদের জন্য নিচের পোস্টটি।


করোনার লক্ষণগুলোকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়ঃ



১. মৃদু(Mild): সর্দি কাশি, জ্বর, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, শরীর ব্যথা, পাতলা পায়খানা ইত্যাদির মধ্যে এক বা একাধিক লক্ষণ থাকতে পারে। কোন রকম শ্বাসকষ্ট থাকবে না। পালস অক্সিমিটার দিয়ে মাপলে অক্সিজেন স্যাচুরেশন (SPO2) ৯৩% এর বেশি দেখাবে।


২. মধ্যম (Moderate): শ্বাস কষ্ট থাকবে অথবা রুমের মধ্যে ০৫ মিনিট হাটলে শ্বাস কষ্ট হবে। পালস অক্সিমিটার দিয়ে মাপলে দেখা যাবে অক্সিজেন স্যাচুরেশন(SPO2) ৯০-৯৩% এর মধ্যে ।


৩. তীব্র (Severe): প্রচন্ত শ্বাস কষ্ট হবে। ঘনঘন শ্বাস নিবে। পালস অক্সিমিটার দিয়ে মাপলে অক্সিজেন স্যাচুরেশন(SPO2) ৯০% এর নিচে দেখাবে। এছাড়া বুকে ব্যথা, প্রচন্ড দুর্বলতা, একদম খেতে না পারা, মাথা হালকা লাগা বা মাথা ঘুরানো, কাউকে চিনতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি সমস্যাও হতে পারে। অনেক সময় রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে।


চিকিৎসাঃ



মধ্যম ও তীব্র লক্ষণের ক্ষেত্রে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।


মৃদু লক্ষণের ক্ষেত্রে বাসায় রেখে চিকিৎসা করতে পারবেন। রোগীকে প্রচুর তরল খাবার খাওয়াবেন (যেমন পানি, ডাবের পানি, সরবত ইত্যাদি), পুষ্টিকর খাবার খাওয়াবেন, জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়াবেন, সর্দি কাশি থাকলে এন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট খাওয়াবেন। খেয়াল রাখতে হবে রোগীর মধ্যে মধ্যম বা তীব্র কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কিনা। রোগীর রক্তে অক্সিজেন ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য বাসায় একটা পালস অক্সিমিটার রাখা জরুরী।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.